, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শাশুড়ির দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পুত্রবধূর বাধা

  • আপলোড সময় : ১৮-০৭-২০২৩ ০৭:০৩:৫০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৭-২০২৩ ০৭:০৩:৫০ অপরাহ্ন
ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শাশুড়ির দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পুত্রবধূর বাধা
এবার সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় শাশুড়ির দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে বাধা দিয়েছেন পুত্রবধূ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুত্রবধূকে হেফাজতে নিয়ে তার শাশুড়ির দাফন সম্পন্ন করেছে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল সোমবার ১৭ জুলাই বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে ঘটে।

এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী খোঁড়া কবরে বসে থাকছেন, আবার শুয়ে থাকছেন। গ্রামবাসীরা তাকে সেখান থেকে ওঠানোর চেষ্টা করছে। কবরের আশপাশে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। সেখানে জড় হওয়া গ্রামবাসীরা বলছে, আপন শাশুড়ির সাথে এমন কাজ কী কেউ করে? তখন আরেকজন বলছেন, আপনি কি কবরে শুয়ে জায়গা (জমি) নেবেন? আপনি না পেলে কেমনে নেবেন? এক পর্যায়ে কররে শুয়ে পড়েন ওই নারী।

এ সময় কেউ কেউ ক্ষোভে তাকে চাপা দেওয়ার কথা বলে ওঠে। গৃহবধূ শাহনাজ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহিমের স্ত্রী। তার শাশুড়ি প্রয়াত আনোয়ারা বেগম (৮০) ওই গ্রামের মৃত মোবারক আলী খানের স্ত্রী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহনাজের প্রতিবেশীরা জানায়, মৃত মোবারক ও আনোয়ারা দম্পতির পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

ছেলে আব্দুর রহিম সৌদি প্রবাসী। জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে শাহনাজের বিরোধ চলছিল। শাহনাজের শাশুড়ি আনোয়ারা মারা যাওয়ার আগে দাফনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। সেখানে দাফনের জন্য তার কবরও খোঁড়া হয়। ওই জমি নিজেদের দাবি করে শাহনাজ তার শ্বশুরের কবরের পাশে শাশুড়িকে দাফন করতে বলেন।

কিন্তু তার ননদরা মায়ের ওসিয়ত করা স্থানে দাফন করবেন বলে জানান। এ নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে শাহনাজ তার শাশুড়ির জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। এ খবর পেয়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, 'জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহনাজ বেগম (৪৫) নামে এক নারী তার শাশুড়িকে কবর দিতে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।' তিনি আরো বলেন, 'ওই গৃহবধূর কর্মকাণ্ডে তার গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পরে শাহনাজের মুচলেকা নিয়ে তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'